Home / অন্যান্য / শীত-কুয়াশায় ধুঁকছে ফসল

শীত-কুয়াশায় ধুঁকছে ফসল

ডেইলি শেয়ারবাজার ডেস্ক: সাতক্ষীরায় হিমেল হাওয়া আর কনকনে শীতে কাঁপছে জনজীবন। গত কয়েকদিন ধরে শীত ও কুয়াশার সঙ্গে বইছে মৃদু বাতাস। তীব্র শীতে নাকাল জনজীবনের পাশাপাশি ফসলের ক্ষতি নিয়ে উদ্বিগ্ন কৃষকরা।

কৃষকরা জানিয়েছেন, কয়েক দিনের কুয়াশায় এরই মধ্যে অনেক ফসলে দেখা দিয়েছে রোগবালাই। অনেক স্থানে পেঁয়াজের পাতায় দেখা দিয়েছে পচন। পলিথিন দিয়ে ঢেকেও রক্ষা করা যাচ্ছে না বোরো বীজতলা। এ অবস্থা দীর্ঘদিন চললে রবিশস্য ও বোরোর আবাদে ব্যাপক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা কৃষকদের।

এখানকার স্থানীয় কৃষক মো. করীম হোসেন জমিতে আলু, বেগুন, সরিষাসহ শীতের বিভিন্ন সবজি চাষ করেছেন। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে বৃষ্টিতে আলুর বেশ ক্ষতি হয়েছে। এখন আবার তীব্র শীতের কারণে ফসল নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন।

তালার শ্রীমন্তকাটি গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন, সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সারাদিন সূর্যের দেখা পাওয়া যায়নি। ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাস শীতের তীব্রতাকে আর বাড়িয়ে দিয়েছে। দিনভর বোরো ধান রোপনে করতে হয়েছে অনেক কষ্টে।

আবহাওয়ার বিরূপ পরিস্থিতিতে কৃষকের করণীয় সম্পর্কে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার সময় স্বচ্ছ পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে দিতে হবে। সকালের জমে থাকা পানি বের করে আবার নতুন পানি দেওয়া ও চারার মাথায় জমে থাকা শিশির ঝরিয়ে দিতে হবে। তাহলে বোরোর চারায় কোনো ক্ষতি হবে না।

এদিকে, ঘন কুয়াশায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে বিভিন্ন যানবাহন। বৃদ্ধি পেয়েছে শীতজনিত রোগের প্রকোপ। বিশেষ করে শিশু-বৃদ্ধরা পড়েছে ভোগান্তিতে।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন বলেন, সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. শেখ সুফিয়ান রুস্তম জানান, প্রতিদিনই শিশু ও বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগে। শীতে শিশুদের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে। বয়স্কদের ক্ষেত্রেও একই ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ঠান্ডা লাগলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

 

ডেইলি শেয়ারবাজার ডটকম/এম আর.

Check Also

হিট অ্যালার্টের মধ্যেই ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস

ডেইলি শেয়ারবাজার ডেস্ক: সারাদেশে সতর্কতামূলক তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি রয়েছে। এ অবস্থার মধ্যেই দেশের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *