ডেইলি শেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৮১ কোম্পানির পুঞ্জিভূত লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৫৪৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে মূল মার্কেটে ২৯ কোম্পানির লোকসানের পরিমাণ ৭ হাজার ৫৬১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। বাকি ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) ৫২ কোম্পানির পুঞ্জিভূত লোকসানের পরিমাণ ৯৮৬ কোটি ৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে অনেক কোম্পানির পুঞ্জিভূত লোকসানের পরিমাণ তাদের পরিশোধিত মূলধন ছাড়িয়ে গেছে যা ভবিষ্যতে টিকে থাকা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
ডিএসই থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, পুঞ্জিভূত লোকসানে জড়িয়ে পড়া কোম্পানিগুলো হচ্ছে- ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেস লিমিটেড, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, বিআইএফসি, শ্যামপুর সুগার, আরএন স্পিনিং, জিলবাংলা, ফাস ফাইন্যান্স, ফারইস্ট ফাইন্যান্স, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল, কেয়া কসমেটিকস, আরামিট সিমেন্ট, সেন্ট্রাল ফার্মা, দুলামিয়া কটন, উসমানিয়া গ্লাস, প্রাইম ফাইন্যান্স, জুট স্পিনার্স, আজিজ পাইপস, ফার্স্ট ফাইন্যান্স, মেঘনা পিইটি, জাহিন স্পিনিং, জেমিনি সি ফুড, আলহাজ্ব টেক্সটাইল, ইমাম বাটন, রেনউইক যজ্ঞেশ্বর, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক, বিডি অটোকার্স, রহিমা ফুড এবং সাভার রিফ্র্যাক্টরিজ। বর্তমানে এসব কোম্পানির পুঞ্জিভূত লোকসানের পরিমাণ ৭ হাজার ৫৬১ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
ইন্টার ন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেস লিমিটেড: বর্তমানে কোম্পানিটির পুঞ্জিভুত লোকসানের পরিমাণ ২ হাজার ৭৪২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা টাকা। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ২২১ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক: পুঞ্জিভুত লোকসানের পরিমাণ এক হাজার ৮৩০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৬৬৪ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার টাকা।
বিআইএফসি: পুঞ্জিভুত লোকসানের পরিমাণ ৭৬৯ কোটি ২০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১০০ কোটি ৬৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
শ্যামপুর সুগার: পুঞ্জিভুত লোকসানের পরিমাণ ৪৯৯ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৫ কোটি টাকা।
আরএন স্পিনিং: পুঞ্জিভুত লোকসানের পরিমাণ ৪৩৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৩৯২ কোটি ৫৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
জিলবাংলা: পুঞ্জিভুত লোকসানের পরিমাণ ৪২৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৬ কোটি টাকা।
ফাস ফাইন্যান্স: পুঞ্জিভুত লোকসানের পরিমাণ ১২০ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এছাড়া, কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১৪৯ কোটি ৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
ফারইস্ট ফাইন্যান্স: পুঞ্জিভুত লোকসানের পরিমাণ ১১৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১৬৪ কোটি ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক: পুঞ্জিভুত লোকসানের পরিমাণ ১১১ কোটি ২৭ লাখ টাকা। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১৬ কোটি টাকা।
ইউনিয়ন ক্যাপিটাল: পুঞ্জিভুত লোকসানের পরিমাণ ১০১ কোটি ৪২ লাখ টাকা। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১৭২ কোটি ৫৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
কেয়া কসমেটিকস: পুঞ্জিভুত লোকসানের পরিমাণ ৮৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ১০২ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
আরামিট সিমেন্ট: পুঞ্জিভুত লোকসানের পরিমাণ ৬২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৩৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
সেন্ট্রাল ফার্মা: পুঞ্জিভুত লোকসানের পরিমাণ ৪০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১১৯ কোটি ৮০ লাখ ১০ হাজার টাকা।
দুলামিয়া কটন: পুঞ্জিভুত লোকসানের পরিমাণ ৩৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। এছাড়া, কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৭ কোটি ৫৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
উসমানিয়া গ্লাস: পুঞ্জিভুত লোকসানের পরিমাণ ৩২ কোটি এক লাখ টাকা। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১৭ কোটি ৪১ লাখ ১০ হাজার টাকা।
প্রাইম ফাইন্যান্স: পুঞ্জিভুত লোকসানের পরিমাণ ২৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ২৭২ কোটি ৯১ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
জুট স্পিনার্স: পুঞ্জিভুত লোকসানের পরিমাণ ২৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন এক কোটি ৭০ লাখ টাকা।
আজিজ পাইপস: পুঞ্জিভুত লোকসানের পরিমাণ ২৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৫ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
ফার্স্ট ফাইন্যান্স: পুঞ্জিভুত লোকসানের পরিমাণ ১৯ কোটি ২০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
মেঘনা পিইটি: পুঞ্জিভুত লোকসানের পরিমাণ ১৭ কোটি ৬ লাখ টাকা। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১২ কোটি ২ টাকা।
জাহিন স্পিনিংয়: পুঞ্জিভুত লোকসানের পরিমাণ ১৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১১৩ কোটি ৮২ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
জেমিনি সি ফুডস: পুঞ্জিভুত লোকসানের পরিমাণ ৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৪ কোটি ৬৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
আলহাজ টেক্সটাইল: পুঞ্জিভুত লোকসানের পরিমাণ ৩ কোটি ৪১ লাখ টাকা। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ২২ কোটি ২৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
ইমাম বাটন: পুঞ্জিভুত লোকসানের পরিমাণ ৩ কোটি ২২ লাখ টাকা। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
রেনউইক যজ্ঞেশ্বর: পুঞ্জিভুত লোকসানের পরিমাণ এক কোটি ৯৮ লাখ টাকা। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ২ কোটি টাকা।
স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক: পুঞ্জিভুত লোকসানের পরিমাণ এক কোটি ৭৫ লাখ টাকা। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৬ কোটি ৪৬ লাখ ১০ হাজার টাকা।
বিডি অটোকার্স: পুঞ্জিভুত লোকসানের পরিমাণ এক কোটি ৩৯ লাখ টাকা। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৪ কোটি ৩২ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
রহিমা ফুড: পুঞ্জিভুত লোকসানের পরিমাণ ৮৫ লাখ টাকা। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ২০ কোটি টাকা।
সাভার রিফ্র্যাক্টরিজ: পুঞ্জিভুত লোকসানের পরিমাণ ৫২ লাখ টাকা। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন এক কোটি ৩৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
এদিকে ওটিসিতে ৫২ কোম্পানির পুঞ্জিভূত লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৮৬ কোটি ৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে আল আমিন কেমিক্যালের পুঞ্জিভূত লোকসানের পরিমাণ ৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। আলফা টোবাক্যোর ৯৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা, আমান সী ফুডের ৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা, এপেক্স উইভিংয়ের ৮৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, আরবি টেক্সটাইলের ৫৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকা, আশরাফ টেক্সটাইলের ৩৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা, বাংলাদেশ কেমিক্যালের ১৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা।, বিডি ডাইংয়ের ২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা এবং বিডি লাগেজের পুঞ্জিভূত লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
এছাড়া বিডি প্লান্টের পুঞ্জিভূত লোকসানের পরিমাণ ৭৮ লাখ টাকা, বিডি জিপারের পুঞ্জিভূত লোকসানের পরিমাণ ১১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা, বিডি ইলেক্ট্রনিক্সের ১২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা, বেঙ্গল বিস্কুটের ৭১ লাখ টাকা, বেঙ্গল ফাইন সিরামিক্সের ২৬ কোটি ১০ লাখ টাকা, বায়োনিক সী ফুডের ৪ কোটি ১১ লাখ টাকা, ড্যান্ডি ডাইংয়ের ১৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, ঢাকা ফ্যাশনের ২২ লাখ টাকা, ডাইনামিক টেক্সটাইলের ৯৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা, ঈগল স্টারের ২৮ কোটি ২ লাখ টাকা, জার্মান বাংলা জেভি ফুডসের ২ কোটি ৯১ লাখ টাকা, গালফ ফুডের ১৪ কোটি টাকা, যশোর সিমেন্টের ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, লেক্সকোর ১৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা এবং ম্যাক এন্টারপ্রাইজের পুঞ্জিভূত লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩০ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
উল্লেখিত কোম্পানি ছাড়াও ম্যাক পেপারের পুঞ্জিভূত লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। এছাড়া মেঘনা সিমেন্টের ৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, মেটালেক্স কর্পোরেশনের ১৬ কোটি টাকা, মিতা টেক্সটাইলের ৩৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকা, মডার্ন সিমেন্টের ২১ কোটি ৩১ লাখ টাকা, মডার্ন ইন্ডাস্ট্রিজের ১৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা, মোনা ফুডের ১৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, পদ্মা প্রিন্টার্সের ২ কোটি ৪ লাখ টাকা, পারফিউম কেমিক্যালের ৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, পেট্রো সিনথেটিকসের ২ কোটি ৩২ লাখ টাকা, ফার্মাকোর ৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকা, ফনিক্স লেদারের ৫৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, কাশেম সিল্কের ২ কোটি ৪২ লাখ টাকা, রহমান কেমিক্যালের ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা, রাঙ্গামাটি ফুডের ৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকা, সালেহ কার্পেটের ১০৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা, শ্রীপুর টেক্সটাইলের ৭৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা, টিবিএলের ১৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকা এবং টিউলিপ ডেইরির পুঞ্জিভূত লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
ডেইলি শেয়ারবাজার ডটকম/এমএইচ/নি.