বিনিয়োগকারীদের বাঁচাতে গেল মাসের শেষের দিকে পুঁজিবাজারে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ফ্লোর প্রাইস ইস্যুতে যে নির্দেশনা ছিল সেখানে এতোদিন চলতে থাকা শেয়ার দরের সর্বনিম্ন সীমা ২ শতাংশ বাতিল করা হয়। যদিও ফ্লোর প্রাইস দেওয়ার পর বাজার ঘুরে দাঁড়ায়। ধীরে ধীরে শেয়ারের দর বৃদ্ধি পেয়ে বিনিয়োগকারীদের লোকসান কিছুটা কমিয়ে দেয়।
এই লোকসান আরো কমাতে এবং নতুন বিনিয়োগকারীদের মুনাফার সুযোগ করে দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগসীমা বা এক্সপোজার ক্রয়মূল্যে গণনা করার নির্দেশনা জারি করে যা পুঁজিবাজারের দীর্ঘ বহু বছরের চাহিদা ছিল। আশা করা হচ্ছিল, এই নির্দেশনার পর চলতি সপ্তাহ থেকে পুঁজিবাজার অনেক পজেটিভ আচরণ করবে।
কিন্তু জ্বালানী তেলের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে সারাদেশে অস্থিরতা বিরাজ করছে যার নেতিবাচক প্রভাব পুঁজিবাজারে পড়েছে। এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যু যোগ হয়ে আজ পুঁজিবাজারের আচরণ পুরোই বিনিয়োগকারীদের প্রতিকূলে অবস্থান করেছে। যদিও বিনিয়োগকারীদের পুঁজি ফিরে পেতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা ভূয়সী প্রশংসার দাবি রাখে। কিন্তু দেশের সাবির্ক পরিস্থিতি ভালো না হলে সব ভালো পদক্ষেপই ভেস্তে যাবে। এতে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি হারানোর ধারা আবারও শুরু হবে। তাই দেশের সার্বিক পরিস্থিতি উন্নত হওয়ার আগ পর্যন্ত শেয়ার দর কমার সর্বনিম্ন সার্কিট ব্রেকার ২ শতাংশ বহাল রাখা হোক। এতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা অনেক ফিরে আসবে।
ডেইলি শেয়ারবাজার ডটকম/নি.