ডেইলি শেয়ারবাজার ডেস্ক: দেশের উত্তর জনপদে চা চাষ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও সিলেটের পর সমতলের অন্যতম চা অঞ্চল হিসেবে এরই মধ্যে দেশে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে তৃতীয় চা অঞ্চল হিসেবে উত্তরাঞ্চলের ৫ জেলা। এক সময়ের পতিত গো-চারণ ভূমি ও দেশের সবচেয়ে অনুন্নত এলাকাগুলো এখন চায়ের বাগানে ভরে গেছে। সৃষ্টি হয় চোখ জুড়ানো নৈসর্গিক সৌন্দর্য।
দেশের বাজারসহ আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করেছে এই সমতলের চা। বলতে গেলে উত্তরাঞ্চলের পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, নীলফামারী ও দিনাজপুরে উঁচু সমতল ভূমিতে অর্থকরী ফসল সবুজ চা চাষ এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু নানান নাটকিয়তা চলছিল উত্তরাঞ্চলের পাঁচ জেলায় উৎপাদিত সমতলের কাঁচা চা পাতা ঘিরে। গত দুই বছরে চা-চাষিরা হয়েছে মূল্য বঞ্চিত। এবার নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে নতুন স্বপ্ন দেখছেন চা বাগানিরা।
চা-চাষি সারোয়ার জাহান ও নুরুজ্জামান নুর জানালেন, বাগানগুলোতে এখন চলছে প্রুনিং (গাছ পরিপূর্ণ হওয়ার পর গাছকে সুস্থ, সবল ও স্বাভাবিক রাখা এবং উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য গাছের কোনো অংশ যেমন- কা-, শাখা, পাতা, ফুল কেটে দেয়া)। এই কার্যক্রম চলবে দুই মাস। এ সময়টিতে চা পাতা উত্তোলন হবে না। সে কারণে টানা দুই মাস চা প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানাগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের আঞ্চলিক কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফ খান বলছিলেন, চায়ের নতুন বছরের সঙ্গে চায়ের গুণগত মান নিশ্চিত করতে টানা দুই মাস পঞ্চগড়ের চা প্রক্রিয়াজাত কারখানাসহ পাতা উত্তোলন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে সমতলের এই চা নিয়ে নতুন স্বপ্ন দেখলেও গত দুই বছরের অধিক সময় ধরে বাগান মালিকদের পাতার ন্যায্য মূল্য না পাওয়াসহ কারখানাগুলোর বিরুদ্ধে চোরাইপথে প্রক্রিয়াজাত চা বিক্রির অভিযোগ ওঠে। এতে চা সম্প্রসারণে আগ্রহ হারায় বাগান মালিকরা। তবে জেলা প্রশাসন ও চা বোর্ডের উদ্যোগে সমস্যা নিরসনের পর এখন নতুন স্বপ্নে বাগান মালিকসহ শ্রমিকরা।
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবে প্রুনিং বা ছাঁটাই কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এতে করে যেমন নতুন ভাবে তৈরি হবে কাঁচা চা পাতা তেমনি আগামী দুমাস পরিচর্যায় চায়ের গুণগত মান নিশ্চিতে ভূমিকা পালন করবে।
ডেইলি শেয়ারবাজার ডটকম/পি.