Home / এক্সক্লুসিভ / মুদ্রানীতিতে পুঁজি বাজার সম্পর্কে যা আছে

মুদ্রানীতিতে পুঁজি বাজার সম্পর্কে যা আছে

বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০২১-২২ এর মুদ্রানীতিতে পুঁজি বাজার সম্পর্কে যা আছে: (সূত্র: অনুচ্ছেদ ৩.৬ সংক্ষেপিত): 

আনোয়ার হোসেন, এমবিএ, আইবিএ, ঢাবি:

এবারের মুদ্রানীতিতে দীঘমেয়াদি অর্থায়নের উৎস হিসেবে ব্যাংক এর উপর নির্ভরশীলতাকে সরিয়ে পুঁজিবাজারকে উক্ত অর্থের উৎস হিসেবে গড়ে তোলার সহযোগিতা অব্যাহত রাখার কথা বলা হয়েছে। মুদ্রানীতিতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ উল্লেখ করা হয়েছে।

# পুঁজি বাজারের গুরুত্ব বিবেচনায় দীর্ঘ মেয়াদি প্রাইভেট ও পাবলিক বিনিয়োগ ফান্ড পূঞ্জীভূতকরণের লক্ষ্যে সম্প্রতি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করেছে। এগুলোর মধ্যে:-
(ক) বাজারে মূলধন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আইপিও প্রসেস দ্রুত অনুমোদন এবং আরও সিকিউরিটিজ তালিকাভুক্তিকরণ।

(খ) কোম্পানিতে স্বচ্ছতা এবং ট্রেডিং সিস্টেমে বিশ্বাসযোগ্যতা স্থাপনের লক্ষ্যে একক পরিচালক এর ক্ষেত্রে মোট মূলধনের ২% শেয়ার হোল্ডিং এবং সকল উদ্যোক্তা পরিচালক ৩০% শেয়ার হোল্ডিং বাস্তবায়ন পদক্ষেপ।

(গ) আইপিও শেয়ার বিতরণ নীতি পুনর্বিবেচনা করত: সাধারণ বিনিয়োগকারীদের লটারীর পরিবর্তে আনুপাতিক হারে শেয়ার বিতরণ করা।

(ঘ) মার্জিন ঋণ সীমা পুন:নির্ধারণ করত: ১:০.৮ (ডিএসইএক্স সূচক ৭০০০ নিচে হলে) এবং ১:০.৫ (ডিএসইএক্স সূচক ৭০০০ বেশি হলে)।

(ঙ) বাজার স্থিতিশীল ফান্ডের অনুমোদন এবং

(চ)শর্তসাপেক্ষে তফসিলি ব্যাংক গুলোর জন্য পারপিচুয়াল বন্ড অনুমোদন (১) সেকেন্ডারি মার্কেটে ২.০০ বিলিয়ন টাকা বাধ্যতামূলকভাবে বিনিয়োগ রাখতে হবে (২) পারপিচুয়াল বন্ড এর কমপক্ষে ১০% আইপিও এর মাধ্যমে সেকেন্ডারি মার্কেটে বিতরণ করতে হবে।

# যাই হোক, পুঁজিবাজারের টেকসই তারল্য নির্ভর করে বিনিয়োগকারীর সম্প্রসারণ এবং আনুষাঙ্গিক প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগীতা যথা প্রাইভেট পেনশন ফান্ড অথরিটি গঠন, কর্পোরেট বন্ড উন্নয়ন এবং সক্রিয়করণ, বিনয়োগকারীর স্বার্থ এবং আত্মবিশ্বাস ধরে রাখার জন্য বিএসইসি এর তদারকি কার্যক্রম বৃদ্ধিকরণ।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য :

# পুঁজি বাজারের তারল্য অবস্থা উন্নতির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক রেপো রেট ৬.০০% থেকে কমিয়ে ৪.৭৫% করেছে। যাতে করে ব্যাংকসমূহ ২.০০ বিলিয়ন টাকার বিশেষ ফান্ড গঠন ও পুঁজি বাজারে বিনিয়োগ করতে পারে। যা বর্তমান পুঁজিবাজার এক্সপোজার এর বর্হিভূত।

# বিনিয়োগের গুনগত মান বৃদ্ধি এবং ব্যাংকের প্রাইভেট অবকাঠামোতে ইক্যুয়িটি ঝুঁকি হ্রাস এর লক্ষ্যে তফসিলি ব্যাংক সমূহরে জন্য বিস্তারিত গাইডলাইন ইস্যু করা হয়েছে।

# বর্তমান সরকার ফান্ডের প্রবাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং পুঁজি বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক অংশগ্রহনসহ অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়োগের সুযোগ চলমান রয়েছে।

 

ডেইলি শেয়ারবাজার ডটকম/নি.

Check Also

ব্লক মার্কেটও যেতে পারছেন না ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা

  ডেইলি শেয়ারবাজার রিপোর্ট: দিন যত যাচ্ছে ততই মার্কেট স্থবির হয়ে পড়ছে। কোন গতি না …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *