ডেইলি শেয়ারবাজার ডেস্ক: বিশ্বকাপের মঞ্চে আজ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। তাই বার্বাডোজের ব্রিজটাউনে দেখা যাবে অ্যাশেজের উত্তাপ। ওমানের বিপক্ষে জয় দিয়ে শুরু করায় এ ম্যাচে কিছুটা নির্ভার থাকবে অস্ট্রেলিয়া।
চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। প্রথম ম্যাচে বৃষ্টির কারণে স্কটল্যান্ডের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয়েছে। তাই আজ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ ইংল্যান্ডের জন্য। সে ম্যাচে ইংল্যান্ডের ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হতে পারেন দুই পেসার জোফরা আর্চার ও মার্ক উড। দু’জনই অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়াকে যথেষ্ট ভুগিয়েছেন।
২০১৯ সালে অভিষেক অ্যাশেজেই গতি ও বাউন্স দিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটারদের নাভিশ্বাস তুলে ছেড়েছিলেন আর্চার। এর পর অবশ্য তাদের বিপক্ষে টেস্ট খেলেননি ক্যারিবিয়ান বংশোদ্ভূত এ পেসার। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সাদা বলেও সর্বশেষ তিনি খেলেছিলেন ২০২০ সালে। গত অ্যাশেজে মার্ক উডও বেশ ভুগিয়েছিলেন অসিদের। অনেকের ধারণা আজ সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে দু’জন অস্ট্রেলিয়ার চিন্তার কারণ হয়ে উঠতে পারেন।
অভিজ্ঞ অসি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার অবশ্য ভাবনার কিছু দেখেন না। বরং দুই পেসারের গতিকে কাজে লাগাতে মুখিয়ে আছেন তিনি। তাঁর মতে, টেস্টের সঙ্গে টি২০-এর অনেক পার্থক্য। এ ছাড়া উইন্ডিজের পিচে এখন পেসারদের জন্য তেমন কিছু নাই বলেও মনে করেন ওয়ার্নার, ‘আপনাকে কেবল তাদের (আর্চার ও উড) গতিকে কাজে লাগাতে হবে। টেস্ট ক্রিকেটে ভিন্নভাবে ফিল্ডিং সাজানো হয়, বলও থাকে ভিন্ন। টি২০ ক্রিকেটে ব্যাটের কানায় লাগাতে পারলেও বল চলে যাবে। তাই দুই ফরম্যাটের মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে।’
ব্রিজটাউনে খেলার অভিজ্ঞতাও কাজে লাগবে বলে জানান ওয়ার্নার, ‘আমি এখানে অনেক ক্রিকেট খেলেছি। এই জায়গায় বল বাউন্স নয়, বরং নিচু হওয়ার আশা করতে পারেন। যদি না খুব বেশি শর্ট বল না হয়।’
অভিজ্ঞতা থেকে তিনি আরও যোগ করেন, ‘এখানে বাউন্সের বৈচিত্র্য আপনাকে অবাক করে দিতে পারে। যখন স্টাম্প থেকে ৮ মিটার দূরে বল ফেলা হবে, তখন আপনার স্বাভাবিক প্রবণতা থাকবে পুল খেলার। কিন্তু এখানে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এমন ডেলিভারিতে সোজা ব্যাটে খেলতে হয়। কারণ বল উঠে না।’
ডেইলি শেয়ারবাজার ডটকম/এম আর.