ডেইলি শেয়ারবাজার ডেস্ক: কিডনি আমাদের শরীরের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা রক্ত পরিশোধন ও বর্জ্য নিষ্কাশনের কাজ করে। কিন্তু কিছু পানীয় নীরবে কিডনির ক্ষতি করতে পারে, যা অনেকেই জানেন না। আসুন জেনে নিই কোন পানীয়গুলো থেকে সতর্ক থাকবেন-
কোমল পানীয় (সোডা ও এনার্জি ড্রিংকস)- অতিরিক্ত চিনি, ফসফরিক অ্যাসিড ও কৃত্রিম রং কিডনিতে পাথর তৈরি করতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, দিনে ২ ক্যানের বেশি সোডা পান করলে কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
প্রক্রিয়াজাত ফলের রস- প্যাকেটজাত ফলের জুসে থাকা উচ্চমাত্রার চিনি ও প্রিজারভেটিভ কিডনির কার্যক্ষমতা কমায়। প্রাকৃতিক ফলের রসের তুলনায় এতে পুষ্টিগুণ কম এবং ক্ষতিকর উপাদান বেশি।
অতিরিক্ত কফি- কফিতে থাকা ক্যাফেইন কিডনিতে চাপ সৃষ্টি করে এবং ডিহাইড্রেশন ঘটাতে পারে। দিনে ৩ কাপের বেশি কফি পান করলে কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
অ্যালকোহল- অ্যালকোহল কিডনিকে অতিরিক্ত কাজ করতে বাধ্য করে, যা দীর্ঘমেয়াদে কিডনি ফেইলিওরের কারণ হতে পারে। এটি শরীরে পানিশূন্যতা সৃষ্টি করে, যা কিডনির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
আর্টিফিশিয়াল সুইটনার যুক্ত পানীয়- ডায়েট সোডা বা চিনিমুক্ত পানীয়তে ব্যবহৃত কৃত্রিম সুইটনার কিডনির কার্যকারিতা কমাতে পারে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, এগুলো কিডনি স্টোনের ঝুঁকি বাড়ায়।
স্পোর্টস ড্রিংকস- ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ স্পোর্টস ড্রিংকস সাধারণ মানুষের জন্য প্রয়োজনের চেয়ে বেশি সোডিয়াম সরবরাহ করে, যা কিডনির উপর চাপ সৃষ্টি করে।শারীরিক পরিশ্রম ছাড়া এগুলো পান করা ক্ষতিকর।
কিডনি সুস্থ রাখার উপায়:
পর্যাপ্ত পানি পান করুন (দিনে ২-৩ লিটার)। প্রক্রিয়াজাত পানীয় এড়িয়ে চলুন। লবণ ও চিনি কম খান। নিয়মিত ব্যায়াম করুন ও স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
উল্লেখ, উপরোক্ত পানীয়গুলো একেবারে বর্জন করতে হবে তা নয়, তবে অতিরিক্ত সেবন থেকে বিরত থাকুন। কিডনি সমস্যার লক্ষণ (প্রস্রাবে পরিবর্তন, ক্লান্তি, পিঠে ব্যথা) দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। মনে রাখবেন, কিডনির ক্ষতি হলে তা প্রায়ই অপরিবর্তনীয় হয়। তাই সচেতনতাই হলো সর্বোত্তম প্রতিরোধ।
ডেইলি শেয়ারবাজার ডটকম/এস.