ডেইলি শেয়ারবাজার রিপোর্ট: দেশের পুঁজিবাজারে বর্তমানে ৪০৪টি কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে মূল মার্কেটে ৩৪৩টি এবং ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটে ৬১টি কোম্পানি রয়েছে। ওটিসির বেশিরভাগ কোম্পানিসহ মূল মার্কেটের অনেক কোম্পানি রয়েছে যেগুলোর উৎপাদন নেই। এসব কোম্পানিতে ব্যবস্থাপনা দুর্বলতার কারণে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে আটকে আছে। তাই দুর্বল কোম্পানির জন্য তিন শর্ত জুড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কোম্পানিকে নার্সিং সহায়তাসহ বোর্ড পরিবর্তনে ভূমিকা রাখবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম জানান, দুর্বল কোম্পানির জন্য আমরা তিনটি শর্ত আরোপ করে দিয়েছি। প্রথমত, কোম্পানিগুলো চেষ্টা করবে মূল ধারায় ফিরতে, এক্ষেত্রে কমিশন নার্সিং করবে, সহায়তা করবে। দ্বিতীয়ত যদি ম্যানেজমেন্টে দুর্বলতা থাকে, কোম্পানি চালাতে পারছে না, সেক্ষেত্রে আমরা বোর্ড চেঞ্জ করে ম্যানেজমেন্টকে শক্তিশালী করে তুলবো। তৃতীয়ত কোম্পানি যদি কিছুই না পারে তবে জনগনের টাকাটা ফেরত দিয়ে পুঁজিবাজার থেকে তালিকাচ্যুত হয়ে যাওয়ার শর্তারোপ করা রয়েছে। বিনিয়োগকারীরা কোম্পানি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিয়ে বাজারে আসলে ঝুঁকি কম থাকে। ক্রেতাদের বিনিয়োগ সুরক্ষার জন্য কমিশন আরো বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ জানান, জেড ক্যাটাগরিতে এমন কোম্পানি রয়েছে যেটি বন্ধ রয়েছে কিন্তু চালু হওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করা যায় সেগুলোকে আমরা বিশেষভাবে চাচ্ছি যে কোম্পানিগুলো চালু হওয়ার মতো পরিবেশ তৈরি হোক, তারা উৎপাদনে ফিরে আসুক।প্রতিষ্ঠানগুলোকে আমরা অনুমোদন দিয়েছিলাম এই উদ্দেশ্যে যে তারা উৎপাদন করবে, মানুষদের সেবা দিবে। আমরা এরকম সব কোম্পানিতেই যোগাযোগ করেছি এবং সেখানে দেখেছি যে ব্যবস্থাপনা ব্যর্থতার কারণেই কোম্পানিগুলো বসে গেছে। এই ব্যবস্থাপনা অদক্ষতাকে ভেঙ্গে আমরা নতুন একটি ব্যবস্থাপনা পর্ষদ সৃষ্টি করেছি।
তিনি আরো বলেন, এখানে যারা শেয়ারহোল্ডার রয়েছেন তারা থাকবেন কিন্তু নেতৃত্ব দেবেন মূলত স্বাধীন পরিচালকরা। তারাতো প্রতিষ্ঠান থেকে কোন মুনাফা পাবেন না, কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলোর যে ব্যবসায়িক লক্ষ্য ছিল সেটির মধ্যে নিয়ে আসবে। আমাদের এখানে জেড ক্যাটাগরির অনেক প্রতিষ্ঠান আছে। যদি কয়েকটাকেও আমরা তুলে ধরতে পারি সেটাই অনেক অর্জন আমি মনে করি।
ডেইলি শেয়ারবাজার ডটকম/মাজ./নি.