ডেইলি শেয়ারবাজার ডেস্ক: গত সপ্তাহেই চার দিন ধরে তাইওয়ানের আকাশে প্রায় শ’দেড়েক বিমান নিয়ে মহড়া করেছে চিন। এ বারে চিনের সঙ্গে সে দেশের ভূখণ্ডের ‘পুনর্মিলনের’ প্রক্রিয়া ‘শান্তিপূর্ণ’ ভাবে সম্পূর্ণ করার কথা বলে ফের শিরোনামে উঠে এলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং।
গণতান্ত্রিক দেশ তাইওয়ানকে প্রথম থেকেই নিজেদের মূল ভূখণ্ডের অঙ্গ বলে দাবি করে আসছে চিন। যা চরিতার্থ করতে লাগাতার সে দেশের উপর রাজনৈতিক এবং সামরিক চাপ বাড়িয়ে চলেছে তারা। এমনকি, বেজিংয়ে দাঁড়িয়ে ২০১৯ সালে সরাসরি শক্তির জোরে তাইওয়ানের ক্ষমতা দখলের হুমকিও দেন চিনফিং। তবে নিজেদের অবস্থানে অনড় থেকে তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেই-এর তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, স্বাধীনতা চিনের হাতে তুলে দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। তাইওয়ানের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে দেশের মানুষ। অন্য কেউ নয়।
যদিও হাল ছাড়েনি চিন। বিভিন্ন দিক থেকে বাড়িয়ে গিয়েছে চাপ। সেই রীতি মেনেই গত ১ অক্টোবর থেকে তাইওয়ানের আকাশে ঝাঁকে ঝাঁকে হানা দেয় চিনা বাহিনীর বিমান। যা ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে বেজিং। যার পর এ দিন তাইওয়ান প্রসঙ্গে প্রথম মুখ খুললেন চিনফিং। দখল নিয়ে নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসার ইঙ্গিত না-দিলেও তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে খানিকটা সুর নরম করতে দেখা গেল তাঁকে। তিনি জানান, এ বিষয়ে ‘শান্তিপূর্ণ’ পদ্ধতি অবলম্বন করার দিকেই জোর দেবেন তাঁরা।
ডেইলি শেয়ারবাজার ডটকম