ডেইলি শেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের সঙ্গে একীভূত হবে আরেক তালিকাভুক্ত কোম্পানি সিএনএ টেক্সটাইল লিমিটেড। তবে এ দুই কোম্পানির একীভূতকরণের ক্ষেত্রে রেশিও কতো হবে তা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। কেউ বলছেন এটার রেশিও ১:২০। আবার কেউ বলছেন ১:৩০ বা অন্যকিছু। কিন্তু প্রকৃত রেশিও কতো হবে সেটি নির্ধারণ হবে উভয় কোম্পানির শেয়ারের বাজার দর এবং অন্যান্য প্যারামিটারের ওপর নির্ভর করে।
আর এটি বাস্তবায়ন করতে অডিটর বা অন্যান্য লিগ্যাল অ্যাডভাইজরদের কাজ করতে ন্যূনতম ৬ থেকে ৯ মাস সময় লাগবে। ওই সময় কোম্পানিগুলোর অন্যান্য প্যারামিটার বিবেচনা করে বাজার দরের ওপর ভিত্তি করে রেশিও নির্ধারণ করা হবে। এতে আলিফ বা সিএনএ কোন কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
এ ব্যাপারে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: আজিমুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি ডেইলি শেয়ারবাজার ডটকমকে জানান, সিএনএ টেক্সটাইল নিয়ে আমাদের কাজ শুরুর করার লক্ষ্যই ছিল কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা যেন ভালো একটি রিটার্ন পায়। কোম্পানিটির নাজুক পরিস্থিতিতে যখন শেয়ার দর ১-২ টাকা ছিল তখন কোম্পানিটিকে টেকওভারের মাধ্যমে পুনরায় জাগিয়ে তুলতে আমরা কাজ করি। বন্ধ ফ্যাক্টরি পুনরায় চালু এবং ব্যাংক লোনের সুদ মওকুফের ফলে বর্তমানে এর অনেক ভ্যালু ক্রিয়েট হয়েছে। তবে বর্তমানে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের সঙ্গে সিএনএ টেক্সটাইলের একীভূতকরণ রেশিও ইস্যুতে বেশ বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। আসলে এটার রেশিও কি হবে সেটা অনেকগুলো প্যারামিটারের ওপর নির্ভর করে।
তিনি আরো জানান, কোম্পানি দুইটির বিভিন্ন প্যরামিটারের ওপর নির্ভর করে অডিটর, লিগ্যাল ফার্ম তারা যে রেশিও নির্ধারণ করবে সেটাই বোর্ডের অনুমোদন সাপেক্ষে কার্যকর হবে। এতে কোন অবস্থাতেই যেন বিনিয়োগকারীদের মূলধন ঘাটতি না হয় আমরা অবশ্যই সেটা করবো।
রেশিও যেটাই হোক বাজার মূল্যের সঙ্গে একটা সম্পৃক্ততা থাকতে হবে। আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের যে শেয়ারই বিনিয়োগকারীরা পান বা যে শেয়ারই সিএনএ টেক্সটাইলের শেয়ার একীভূত হোক না কেন কোন অবস্থাতেই যেন কোন অসামঞ্জস্যতা না থাকে। একীভূতকরণ স্কীম অনুমোদনের আগে অবশ্যই সেটা ম্যানেজমেন্টের মাথায় থাকবে। এখানে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ বা সিএনএ টেক্সটাইল কারোরই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
আজিমুল ইসলাম আরো বলেন, বাজারে একীভূতকরণ ইস্যুতে রেশিও নিয়ে যে বিভ্রান্তি চলছে তা একেবারেই ঠিক নয়। এটা করতে আরো ৬ থেকে ৯ মাস সময় লাগবে। ওই সময় বিভিন্ন প্যারামিটার এবং মার্কেটের শেয়ার দরের ওপর নির্ভর করে রেশিও নির্ধারিত হবে বলে জানান তিনি।
ডেইলি শেয়ারবাজার ডটকম/মু.