ডেইলি শেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সেবা ও আবাসন খাতের ইস্টার্ন হাউজিংয়ের শেয়ার নিয়ে কারসাজির অভিযোগ উঠেছে। সামনে কোম্পানিটির ইপিএস অনেক বৃদ্ধি পাবে, সাভারের বড় প্রকল্পসহ কোম্পানির আয় বৃদ্ধির অনেক নিউজ আসবে-এমন গুজব ছড়িয়ে শেয়ার দর ম্যানুপুলেশন করা হচ্ছে।
গেল তিন মাসে এ কোম্পানির শেয়ার দর ৫৭ টাকা থেকে ১৪০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। যদিও গত আগস্ট মাসের শেষের দিকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পক্ষ থেকে দর বৃদ্ধির কারণ জানতে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার উত্তরে কোম্পানির পক্ষ থেকে কোন অপ্রকাশিত কারণ নেই বলে জানানো হয়েছি। ওই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ৮০ টাকা। কিন্তু এরপর গ্যাপ দিয়ে দিয়ে শেয়ার দর যেভাবে বাড়ানো হয়েছে তার প্রেক্ষিতে ডিএসই পক্ষ থেকে কোন নোটিশ কোম্পানিকে দেয়া হয়নি। এছাড়া বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এ ব্যাপারে কোন নজরদারি করছে না। সুকৌশলে কারসাজি চক্র এর শেয়ার দর বৃদ্ধি করে চলেছে। কোম্পানিটির শেয়ার দর ২০০ টাকা পর্যন্ত যাবে এমন খবরও বাজারে ছড়ানো আছে।
ডিএসই থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, গত অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই’২১-সেপ্টেম্বর’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ০.৭৫ টাকা। শিগগিরই কোম্পানিটি এ বছরের অর্থাৎ প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই’২২-সেপ্টেম্বর’২২) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। সেখানে ইপিএস ২ টাকার ওপরে আসবে বলে গুজব রয়েছে। এছাড়া সাভারের বড় প্রকল্পের সংবাদ আসবে। এতে এর শেয়ার দর অনেক বৃদ্ধি পাবে-এমন গুজব ছড়ানো আছে।
তবে এসব গুজব ভিত্তিহীন বলে মনে করছেন ইস্টার্ন হাউজিংয়ের কোম্পানি সচিব সেলিম আহমেদ। তিনি ডেইলি শেয়ারবাজার ডটকমকে জানান, অন্যান্য কোম্পানি যদি জমি কেনে তাহলে তার জন্য সেটি হচ্ছে সম্পদ। কিন্তু আমাদের জন্য সেটা বিজনেস। আমরা জমি, এপার্টমেন্ট এগুলো কেনা-বেচা করি। এগুলো রেগুলার কার্যক্রম। সাভারের প্রজেক্ট অনেক আগে থেকেই চলতেছে; এখানে নতুন করে কিছু নেই। এগুলো নিয়ে যদি কেউ ম্যানুপুলেট করে তাহলেতো কিছু করার নেই।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গেল দুই বছর প্রতিটি সময় কোন না কোন ইস্যু নিয়ে কারসাজি হচ্ছে। কিন্তু নিয়ন্ত্রক সংস্থা অনেক দেরিতে সেগুলো শনাক্ত করে দোষীদের অপেক্ষাকৃত অনেক কম আর্থিক জরিমানা করে দায় সারছে। এর মধ্যে অনেক বিনিয়োগকারী সর্বশান্ত হয়ে যাচ্ছে যার দায় কমিশন নিচ্ছে না। একটি স্বচ্ছ পুঁজিবাজার না হলে এভাবেই বিনিয়োগকারীরা কারসাজির কবলে পড়ে নি:স্ব হতে থাকবে। কমিশনের পক্ষ থেকে কিছু করুক বা না করুক বিনিয়োগকারীদের সচেতন হওয়ার বিকল্প নেই বলে মনে করেন তারা।
ডেইলি শেয়ারবাজার ডটকম/মু.