ডেইলি শেয়ারবাজার ডেস্ক: ব্রণর সমস্যা অল্প বয়স থেকেই শুরু হতে পারে। বিশেষ করে ১৫/১৬ বছর থেকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগে থেকেই কিছু নিয়ম মেনে চললে এ সমস্যা থেকে দূরে থাকা যাবে। দৈনন্দিন অভ্যাস ও খাদ্যাভাসের পরিবর্তনে এ সমস্যা থেকে অনেকাংশেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। ব্রণ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে রয়েছে বিশেষ কিছু উপায়।
কিছু নিয়ম মেনে চললেই উপকার পাওয়া সম্ভব। ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিস্কার ত্বক পাওয়ার জন্য খাবারের তালিকায় স্বাস্থ্যকর উপাদান থাকা জরুরি। যাতে রক্ত পরিশুদ্ধ থাকে। পাশাপাশি ধুলো, ময়লার হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করার জন্য ত্বক নিয়মিত পরিস্কার করাও দরকার।
সুন্দর এবং স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের সঙ্গে স্ট্রেসের যেহেতু সম্পর্ক খুব ঘনিষ্ঠ তাই প্রতিদিনের শরীরচর্চা এবং যোগাসন, ব্যায়াম এগুলি করা উচিত। স্ট্রেস বাস্টার হিসেবে যোগাসন অবশ্যই দরকার।
ব্রণ কমানোর অন্যতম উপায় হলো প্রচুর পরিমাণে পানি পান। দৈনিক পরিমান মত পানি পান করতে হবে। এটি শরীর থেকে সব টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। ত্বক সজীবও রাখে। ত্বক সুস্থ রাখতে দিনে অন্তত আট গ্লাস পানি পান করা উচিত। ত্বক যত বেশি হাইড্রেটেড থাকবে, তত ত্বকের সমস্যা কম হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এছাড়া প্রতিদিন দু গ্লাস করে চিনি ছাড়া লেবুর পানি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
সুস্থ ত্বক পেতে সপ্তাহে অন্তত দুদিন স্যামন, টুনাজাতীয় মাছ খাবারের তালিকায় রাখতে হবে। এই সমস্ত মাছে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী। ত্বক সুস্থ রাখার পাশাপাশি ত্বকের বিভিন্ন সমস্যাও প্রতিরোধ করে।
মাছ খেলে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা হ্রাস করে। কারণ মাছে আছে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড, যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। মাছের তেলও ত্বকের জন্য উপকারী।
মৌরি খেলে ত্বকের ব্রণ সমস্যার উপশম হয়। মৌরিতে আছে আয়রন, কপার, পটাসিয়াম, জিংকের মতো উপাদান। লাল আঙুরে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ত্বকের প্রদাহ রোধ করে। ব্রণ হওয়ার প্রবণতাও কমিয়ে দেয়।
এছাড়াও ফাইবার যুক্ত খাবার খেতে হবে। পুষ্টিকর ডায়েট এবং জিঙ্কযুক্ত খাবার যেমন ছোলা, ইয়গার্ট, পালং শাক, বাদাম, শস্য দানা, চিকেন ইত্যাদি খেলে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে। বেশি মাত্রায় চিনি এবং দুধ জাতীয় খাবার খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া উচিত। এর থেকে অ্যালার্জির মাত্রা বাড়তে পারে।
উল্লেখ্য, জেনেটিক কারণে বা হরমোনাল কারণে ব্রণ সমস্যা দেখা যেতে পারে। অতিরিক্ত মাত্রায় তৈলাক্ত প্রসাধনী কিংবা মেকআপ ব্যবহার এর অন্যতম কারণ। এসব ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ডেইলি শেয়ারবাজার ডটকম/মৌ.