ডেইলি শেয়ারবাজার ডেস্ক: খুবই সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণে ভরপুর স্যামন। স্যামন EPA এবং DHA সম্পন্ন ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। যেহেতু আমাদের শরীর নিজে থেকে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড তৈরি করতে পারে না তাই খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত খাবার।
স্যামন মাছে সেলেনিয়াম নামে একপ্রকার খনিজ পদার্থ পাওয়া যায়। এই সেলেনিয়াম হাড়ের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে। শরীরে থাইরয়েডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং ক্যান্সার রোধেও সহায়ক।
অ্যাস্টাক্সান্থিন নামে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের হদিশ মেলে এই মাছে। যা শরীরে গেলে আপনার হৃৎপিণ্ড, মস্তিষ্ক, স্নায়ুতন্ত্র ও ত্বকের যত্নে সাহায্য করবে।
ভিটামিন বি-এর উৎকৃষ্ট উৎস হচ্ছে এই স্যামন মাছ। ভিটামিন বি শক্তি বৃদ্ধিতে, হৃৎপিণ্ড ও মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে।
প্রত্যেক ১০০ গ্রাম স্যামন মাছে প্রায় ১৩ শতাংশ করে পটাশিয়াম থাকে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং শরীরে অতিরিক্ত রক্ত জমাট বাঁধা আটকায়।
পর্যাপ্ত পরিমাণে স্যামন মাছ খেলে তা শরীরে ওমেগা ৩-এর পরিমাণ বাড়িয়ে এবং ওমেগা ৬-এর পরিমাণ কমিয়ে হৃৎপিণ্ডের যত্ন করবে। একইসঙ্গে ট্রাইগ্লিয়ারাইডেরও মাত্রা কমায়।
ঘন ঘন স্যামন খেলে তা ডিপ্রেশন বা অ্যাংজাইটি থেকেও মুক্তি দিতে পারে। গর্ভাবস্থায় মস্তিষ্ক বিকাশে সাহায্য করে।
শরীরে প্রোটিনের চাহিদা মিটাতে স্যামন উত্তম। ক্ষত সারাতে হোক বা হাড় ও মাংসপেশি মজবুত করতেই হোক, প্রত্যেক ১০০ গ্রাম স্যামন মাছে ২২ থেকে ২৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে।
এছাড়াও আপনার বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ওজন কমাতেও সাহায়তা করতে পারে স্যামন মাছ। দুর্দান্ত স্বাদের এই মাছ রান্না করাও খুব সহজ। এবং একাধিক পদ্ধতিতে স্যামন রান্না করা যায়।
ডেইলি শেয়ারবাজার ডটকম/মৌ.