Home / স্বাস্থ্য বার্তা / রোজায় স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খাদ্যাভ্যাসের যত্ন

রোজায় স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খাদ্যাভ্যাসের যত্ন

ডেইলি শেয়ারবাজার ডেস্ক: রমজানে স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নজর দিতে হবে খাদ্যাভ্যাসের প্রতি। রোজার সময় আমরা সেহরি ও ইফতারে যে খাবার খেয়ে থাকি তা থেকেও শরীর সারাদিনের জন্য শক্তি পেয়ে থাকে। দিনের বেলা আমাদের শরীর যকৃত ও পেশিতে জমানো শর্করা ও ফ্যাট থেকে শক্তি লাভ করে। শরীরে পানি জমা থাকে না। ঘাম ও প্রস্রাবের সঙ্গে বের হয়ে যায়, পানিশূন্যতা হয় বলে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, দুর্বলতা দেখা দেয়। কাজে মনোযোগ দেওয়া যায় না। তাই খাদ্যাভ্যাসের প্রতি যত্নশীল না হলে অ্যাসিডিটি, গ্লুকোজ কমে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দেয় রোজার মাসে।

রমজানে সেহরিতে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট বা জটিল শর্করা গ্রহণ করা উচিত। এই ধরনের শর্করা ধীরে ধীরে হজম হয়। ফলে, দিনের বেলা ক্ষুধা কম অনুভূত হয়। এজন্য সেহরিতে খেতে পারেন ঢেঁকিছাঁটা চালের ভাত।

সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারির প্রচলিত মেন্যুর মধ্যে বুট, ছোলা, মুড়ি স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর, কিন্তু তেলেভাজা পিঁয়াজু ও বেগুনি জাতীয় খাবার গ্যাসের উদ্রেক করে বদহজমের সৃষ্টি করতে পারে। তাছাড়া এসব খাবার পুরনো তেলে ভাজা হলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি। তাই গরমে ইফতারে একটি উৎকৃষ্ট খাবার হতে পারে দই-চিড়া। ভেজানো চিড়ার সঙ্গে টক দই, কলা ও খাঁটি গুড় বা মধু দিয়ে মাখিয়ে খেলে একটি পরিপূর্ণ ইফতার যেমন হয় তেমনি প্রায় সব ধরনের পুষ্টি চাহিদাও পূরণ হয়। এতে হজম প্রক্রিয়া শক্তিশালী হয় এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাও দূর হয়।

ইফতারে প্রচুর পানি পান করতে হবে। তরমুজ এবং খেজুরের জুস ইফতারে একটি স্বাস্থ্যকর পানীয়। কয়েক টুকরো তরমুজের সঙ্গে এক বা দুইটি খেঁজুর ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে ছেঁকে নিলেই চমৎকার স্বাদের এই পানীয়টি তৈরি হয়ে যায়। অতিরিক্ত চিনি ব্যবহার না করায় এটি খুবই স্বাস্থ্যকর পানীয়। ডাবের পানি ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ইফতারে মাঝে মাঝে ডাবের পানি পান করা ভালো।

খেতে হবে কম মসলাযুক্ত খাবার। ইফতারে মিষ্টি জাতীয় খাবার রাখাও মন্দ নয়, যদি তা খেতে চিকিৎসকের নিষেধ না থাকে। তবে বেশি খাওয়া যাবে না। ইফতারে খেজুর-খুরমা রাখাও ভালো। খুরমা খুব দ্রুত শরীরের গ্লুকোজ ঘাটতি মেটাতে পারে ও শরীরের দুর্বলতা দূর করে। সালাদ বা স্বাস্থ্যকর খাবারে সৃজনশীল হোন। তেলে ভাজা বা ভারী খাবার না খেয়ে খাবারে বৈচিত্র্য আনতে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত নিত্যনতুন খাবার তৈরি করুন।

এছাড়াও রাখতে পারেন যেকোনো মৌসুমী ফল। ফল সহজপাচ্য ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে পূরণ করে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের ঘাটতি। যা শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

বিভিন্ন ধরনের ও রঙের সবজি ও ফল দিয়ে বিভিন্ন সালাদ তৈরি করে খান। এতে করে পুষ্টি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের সমন্বয় হবে যা আপনার দেহ এবং দেহ কোষকে এই মাসে ভালো রাখতে সাহায্য করবে। রাতের খাবারে ভাত, শাক, সবজি, মাছ, ডাল ও ডিম তালিকায় রাখতে পারেন।

ডেইলি শেয়ারবাজার ডটকম/মৌ.

Check Also

অর্থাভাবে থেমে যায় অনেকের চিকিৎসা

ডেইলি শেয়ারবাজার ডেস্ক: গাজীপুর কালীগঞ্জের আমির হোসেনের (৩৭) শরীরে সেই শিশু বয়স থেকে কালচে দাগ। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *